SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র - ফল ও বীজ সৃষ্টি

উদ্ভিদ এর ফল ও বীজ সৃষ্টিঃ

সস্যের উৎপত্তি (Development of endosperm) : ভ্রূণ উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে সস্য নিউক্লিয়াসটি দ্রুত মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে অনেকগুলো নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে। নিউক্লিয়াসগুলো সাইটোপাজমের সমন্বয়ে কোষে পরিণত হয়ে বিশেষ এক ধরনের টিস্যুর সৃষ্টি করে। এ টিস্যুকে সস্য বা এন্ডোম্পার্ম (endasperm) বলে। পরিস্ফুটনরত ভ্রূণের দ্বারা বীজের সস্য সম্পূর্ণরূপে শোষিত হওয়ায় বীজটি যদি সস্যবিহীন হয়, তখন সেই প্রকার বীজকে অসস্যল বীজ (non-endospermic seed) বলে- যেমন মটর, ছোলা, আম ইত্যাদি অপর পক্ষে বীজে যদি সস্যের কিছু অংশ বর্তমান থাকে তবে সেই প্রকার বীজকে সস্যল বীজ (endospermic seed) বলা হয় । যেমন-ধান, গম, রেড়ি।

ফলের উৎপত্তি (Development of fruit): নিষেকের পর ফুলের স্তবকগুলোর মধ্যে গর্ভাশয় ছাড়া অন্যসব অংশ সাধারণত শুকিয়ে ঝরে পড়ে। নিষেক গর্ভাশয়কে বর্ধিত হতে উদ্দীপিত করে। ক্রমবৃদ্ধির ও বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে গর্ভাশয় শেষ পর্যন্ত ফলে পরিণত হয়। একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণে বীজপত্র ও ভ্রূণের ভ্রূণাক্ষ থাকে। ভ্রূনাক্ষের উপরের অংশ ভ্রূণমুকুল এবং নিম্নাংশ হলো ভ্রূণমূল ।

বীজের উৎপত্তি (Development of seed) : নিষেকের উদ্দীপনায় ভ্রূণ ও সস্যের বৃদ্ধির সাথে সাথে গর্ভাশয়ের অন্যান্য অংশও দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করতে থাকে। ডিম্বকত্বক পরিবর্তিত হয়ে বীজত্বকে পরিণত হয়। একই সাথে খাদ্যের জলীয় অংশ ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ায় নরম ডিম্বক শুষ্ক হয়ে কঠিন বীজে পরিণত হয় । এরূপ পরিবর্তনকালে ডিম্বকনাড়ীটি বীজের একটি তৃতীয় স্তর সৃষ্টি করে। একে এরিল (aril) বা বীজ উপাঙ্গ বলে। লিচু, লিচু, জয়ফল, শাপলা বীজে এরিল সৃষ্টি হয়। লিচু ও কাঠলিচুর এরিল হলো ভোজ্য অংশ।

Content added By
Promotion
Content for the offcanvas goes here. You can place just about any Bootstrap component or custom elements here.